যাদের কে যাকাত দেয়া যাবে না

ইসলাম মানব জাতির জন্য আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত চিরন্তন কল্যাণকর পরিপূর্ণ জীবন দর্শন। ইসলামি জীবনদর্শনের বুনিাদী স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। যথা- (১) তাওহিদ ও রিসালাতের প্রতি বিশ্বাস, (২) সালাত (নামাজ), (৩) যাকাত, (৪) সিয়াম (রোজা), (৫) হজ্জ। যাকাত ইলামের তৃতীয় স্তম্ভ। সুদমুক্ত যাকাত ভিত্তিক ব্যবস্থা ইসলামি অর্থব্যবস্থার অন্যতম বুনিযাদি।
যাকাত (زكوة) একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো, পবিত্রতা, বৃদ্ধি পাওয়া, বরকত লাভ হওয়া, প্রশংসা করা ইত্যাদি।
দ্বিতীয় হিজরি সনে যাকাত ফরজ হয়েছে। কুরআন, হাদিস ও ইজমার দ্বারা যাকাতের ফরজিয়াত প্রমাণিত। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে-
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ.
অর্থ: তোমরা নামাজ কায়েম কর ও যাকাত আদায় করে দাও। আর যারা রুকু করে তাদের সাথে রুকু কর।
পবিত্র আল কুরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে-
وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ.
অর্থ: এবং তাদের ধনীদের ধন সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্থ ও বঞ্চিতদের হক।
নবি করিম সা. বলেছেন,
اتقوا الله [ ربكم ] وصلوا خمسكم وصوموا شهركم وأدوا زكاة أموالكم وأطيعوا ذا أمركم تدخلوا جنة ربكم.
অর্থ: তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, রমজানের রোজা রাখবে, বায়তুল্লাহ শরিফের হজ্জ আদায় করবে এবং সন্তুষ্ট চিত্তে তোমাদের সম্পদের যাকাত আদায় করবে। তাহলে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ করবে।
নি¤েœ যাকাত যাদেরকে দেয়া জায়েয নয় তাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আটটি নির্ধারিত খাত ব্যতিত অন্য কোথাও যাকাত দেয়া যাবে না:
যাকাত আদায়ের খাতসমূহ নি¤œরূপ। যথা-
১. ফকির:
ফকির অর্থ- ভিক্ষুক নয়, ফকির হচ্ছে যে সকল অভাবগ্রস্থ পরিবার যারা সীমিত আয় দ্বারা স্বাচ্ছন্দে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে না। যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয় সেই ফকির।
২. মিসকিন:
মিসকিন বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যার কিছুই নেই এবং সে মানুষের কাছে হাত পেতে বেড়ায়। সে এমন ব্যক্তি যে দারিদ্রকে বুঝায় যারা আত্মমর্যাদা ও সম্মানবোধের কারণে কারও নিকট অভাব ও দারিদ্রের কথা প্রকাশ করে না। (আলমগিরি, ১ম খ-)
৩. আমিল:
যাকাত সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ। যারা যকাত বিভাগের কর্মচারী ও এর আদায়কারী দান। (বাহরুর রায়েক, ২য় খ-)
৪. নও মুসলিম:
যারা নতুন ইলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্র যাকাত প্রদান করা যাবে।
৫. গোলাম আযাদ:
গোলাম বলতে ‘মুকাতাব, আযাদি চুক্তিতে আবদ্ধ গোলামকে বুঝানো হয়েছে। বন্দি দাসমুক্তির জন্য যাকাত প্রদান করা যাবে।
৬. ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি:
এমন ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি যার নিকট এ পরিমাণ মাল আছে তা দ্বারা ঋণ পরিশোধ করার পর অবশিষ্ট মাল নিসাব পরিমাণ হয় না তাকে যাকাতের অর্থ প্রদান করা জায়েয। ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির ঋণ পরিশোধ খাতে যাকাত প্রদান করা। (আলমগিরি, ১ম খ-)
৭. আল্লার পথে:
এ সমস্ত মুজাহিদ যারা অভাবের দরুন আল্লাহর পথে জিহাদে শরিক হতে পারছে না াতদের জিহাদে শরিক হওয়ার জন্য যাকাতের অর্ত প্রদান করা জায়েয। মহান আল্লাহর নামে এতিমখানা দারিদ্র তহবিল খাতে যাকাত ব্যায় করা যায়। (শামি, ২য় খ-)
৮. মুসাফির:
যে ব্যক্তি সফরে আছে এবং তার হাতে বর্তমানে প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। এমতবস্থায় তাকে প্রয়োজন মাফিক যাকাত দেওয়া জায়েয। বিপদগ্রস্থ মুসাফিরকে যাকাত প্রদান করা যাবে। (আলমগিরি, ১ম খ-)
যেসব ক্ষেত্রে যাকাত প্রদান যোগ্য নয়:
ক. মা, বাবা, দাদা, দাদী, নানা, নানী এবং তদূর্ধ।
খ. ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনী ও তন্নিয়।
গ. স্বামী
ঘ. স্ত্রী
ঙ. ধনী
চ. অমুসলিম
এসব খাতে যাকাত প্রদান করা যোগ্য নয়।
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া জায়েয নয়:
নিসাব এর পরিমাণ বলতে বুঝায় যদি কোন আযাদ, জ্ঞানবান, প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা (প্রায় ৬১৩ গ্রাম) অথবা সাড়ে সাত তোলা সোনা (প্রায় ৮৮ গ্রাম) কিংবা সম পরিমাণ মূল্যের টাকা বা ব্যবসায়িক মালের মালিক হয় তবে এ মালকে শরিআতের পরিভাষায় زكوة নিসাব বলা হয়। এমন ব্যক্তিকে যাকাত (زكوة) দেয়া জায়েয নয়।
বনী হাশিম সংশধরকে যাকাত দেয়া যাবে না:
বনী হাশে অর্থাৎ হজরত আলী রা., হজরত আব্বাস রা., জাফর, আকীল এবং হারিস ইবন আব্দুল মুত্তালিব রা. এর বংশধরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়।
ইসলামের সাথে যুদ্ধকারী কে যাকাত দেয়া যাবে না:
মুসলিম উম্মত এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ একমত যে, কফির, মুসলিমদের সাথে যুদ্ধমান লোকদেরকে যাকাতের এক বিন্দুও দেওয়া যাবে না। এই ইজমা (ঐকমত্যের) প্রমাণ ও ভিত্তি হচ্ছে মহান আল্লাহর বাণী-
إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَى إِخْرَاجِكُمْ أَنْ تَوَلَّوْهُمْ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
অর্থ: তোমাদেরকে যেসব লোকের সাথে যারা তোমাদের সাথে দীনের ব্যাপারে যুদ্ধ করেছে। তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বহিষ্কার করেছে এবং তোমাদেরকে বহিষ্কারের ব্যাপারে খুব বেশি বাড়াবাড়ি করেছে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা থেকে নিষেধ করা হচ্ছে। যারাই তাদের সাতে বন্ধুত্ব করবে তারাই জালিম।
অতএব, জালিমকে যাকাত দেয়া যাবে না ও কাফিরদেরকেও নয়। কারণ, তারা এই টাকা দিয়ে মুসলমানদেরকে হত্যা করার জন্য খঞ্জর ক্রয় করে দীনকে ক্ষতি করবে।
নাস্তিক ও দ্বীন ত্যাগ কারীদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না:
মহান আল্লাহকেই অস্বীকার করে। নবুওয়াত ও পরকালকে অবিশ্বাস করে। দীনের বিরুদ্ধে লড়াই করা তো তার স্বাভাবিক প্রতারণা হবে।
অতএব, এই দীনের ধন-মাল হতে যাকাতের অর্থ তাদেরকে কিছুতেই দেয়া যেতে পারে না। অনুরূপভাবে ইসলাম থেকে মুরতা-দীন ত্যাগকারী হয়ে বেড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিকেও যাকাতের অর্থ দেয়া যাবে না। কেননা, সে তো ইসলামের মধ্যে ছিল, পরে সে বের হয়ে গেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এই ব্যক্তি বেঁচে থাকারই অধিকারী নয়। সে দীন ত্যাগ করে মহা অপরাধ করেছে। মুসলিম সমাজকেও সে প্রত্যাখ্যান করেছে। এজন্যই মহানবি সা. বলেছেন,
من بدل دينة فاقتلوه
অর্থ: যে লোক দীন ত্যাগ করেছে, তাকে তোমরা হত্যা করে দাও।
অতএব, নাস্তিক ও দীন ত্যাগকারী ব্যক্তিকে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে না।
কাদীয়ানী মতালম্বীদের যাকাত দেয়া যাবে না:
কাদিয়ানীরা শুধু কাফিরই নয়; বরং নিকৃষ্ট কাফির। আর কাফিরদেরকে যাকাত দেওয়া হারাম ও না জায়েয। তাই কাদিয়ানীদেরকে যাকাত দেয়া নাজায়েয ও হারাম। যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। আর কাদিয়ানীদেরকে যে কোন প্রকারের দান খয়রাত দেয়া যাবে না। দিলে কঠিন গুনাহগার হবে।
وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ مُسْلِمًا فَلَا يَجُوزُ صَرْفُ الزَّكَاةِ إلَى الْكَافِرِ بِلَا خِلَافٍ لِحَدِيثِ مُعَاذٍ رضي اللَّهُ عنه خُذْهَا من أَغْنِيَائِهِمْ وَرَدَّهَا في فُقَرَائِهِمْ أَمْرٌ بِوَضْعِ الزَّكَاةِ في فُقَرَاءِ من يُؤْخَذُ من أَغْنِيَائِهِمْ وَهُمْ الْمُسْلِمُونَ فَلَا يَجُوزُ وَضْعُهَا في غَيْرِهِمْ.
অর্থ: যাকাত দেযা বৈধ হওয়ার একটি শর্ত হলো, যাকাত যোগ্য ব্যক্তিটি মুসলমান হওয়া। তাই কোন অমুসলিম বা কাফিরেকে যাকাত দেয়া নাজায়েয হওয়ার বিষয় উম্মতের মুসলিমার ঐকমত্য বা ইজাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর হজরত মুয়াজ বিন জাবালের হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, হজরত মুহাম্মদ সা. হজরত মুয়াজ রা. কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তুমি ধনী মুসলিমদের থেকে যাকাত আদায় করা থেকে তাদের গরিব মুসলমানদের মাঝে বণ্টন করে দিবে।
এ হাদিস দ্বারা পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে, অমুসলিমদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না। দিলে যাকাত আদায় হবে না। আর আল্লামা ইবনে আবেদীন শামি তার তার ‘মাজমুয়ায়ে রাসায়েল’ নামক কিতাবে লিখেন যে,
اجمع العلماء على ان شاتم النبى صلى الله عليه وسلم والمنتقص له كافر.
অর্থ: ওলামায়ে কেরামের ইজমা বা ঐকমত্য রয়েছে যে, রাসুল সা. কে গালিগালাজকারী ও অপমানকারী কাফির।
আর কাদিয়ানীরা রাসুল সা. কে গালিদাতা ও অপমান করার কারণে কাফির তাই তাদেরকে যাকাত দেওয়া জায়েয হবে না। আর দিলে যাকাত আদায় হবে না। বরং কঠিন গুণাহগার হবে। অতএব, কাদিয়ানিকে জাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে না।
শিয়াদের যাকাত দেয়া যাবে কিনা:
শিয়াদের বারটি দল রয়েছে। তারা সকলে কুরআন শরিফের শব্দের পরিবর্তনকারী ইমামদেরকে নিষ্পাপ বা মাসুম মনে করে। প্রতারণা বা তাকিয়াকে মহা ইবাদত। নিকাহে মুতা বা চুক্তিভিত্তিক বিবাহকে মহা পূণ্যের কাজ বিশ্বাস করার কারণে তারা কাফির। তিনজন ছাড়া সকল সাহাবায়ে কেরামকে কাফির বলেও বিশ্বাস করার কারণে শিয়ারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে কাফির ও মুরতাদই হয় নাই; বরং অন্যান্য কাফিরদের চেয়ে নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত কাফিরে পরিণত হয়েছে। আর কাফিরদেরকে যাকাত দেয়া নাজায়েয ও হারাম তাই শিয়াদেরকে যাকাত দেয়া নাজায়েয ও হারাম। তাদেরকে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না।
الرافضى اذا كان يسب الشيخين ويلعنها العياذ بالله فهو كافر الى قوله وهؤلاء القوم خارجون من ملة الاسلام واحكامهم احكام المرتدين.
অর্থ: শিয়ারা হজরত আবু বকর ও হজরত ওমর ফারুক রা. কে গালিগলাজ করে এবং অভিশাপ দেয়ার কারণে ইসলাম ধর্ম বহির্ভূত হয়ে তারা মুরতাদ ও কাফির (তা থেকে আমরা আল্লাহর নিকট পানাহ চাই) তাদের ব্যাপারে মুরতাদের বিধান প্রযোজ্য।
অমুসলিমকে যাকাত প্রদান:
অমুসলিমকে সাধারণত তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-
১। কাফিরে হরবি অর্থাৎ দারুল হরব বা অমুসলিম দেশে বসবাসকারী কাফির। এ ধলণের কাফিরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নেই।
২। যিম্মী কাফিরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নেই। অবশ্য তাদেরকে নফল দান খয়রাত করা জায়েয আছে।
৩। হরবি মুস্তাকিন অর্থাৎ দারুল হরবের যে কাফির নিরাপত্তা ভিসা গ্রহণ করে ইসলামি রাষ্ট্রের অবস্থান করে এমন কাফিরকেও যাকাত দেওয়া বৈধ হবে না।
জনকল্যাণ মূলক কোন কাজে যাকাত এর অর্থ দেয়া যাবে কিনা:
ইমাম আবু হানিফা রহ. এর মাযহাবের মতে যাকাত আদায় হওয়ার জন্য শর্ত হলো, যাকাত শরিয়াত নির্ধারিত মাসরাফের কাউকে মালিক বানিয়ে দেওয়া। তাই মসজিদ, মাদরাসা, হাসপাতাল, পুল, রাস্তাঘাট ইত্যাদি নির্মাণ এবং পুকুর, খাল খনন ইত্যাদি জনহিতকর কাজে যাকাতের অর্থ ব্যয় জায়েয নয়। কেননা কাউকেই এসব কাজে ব্যয়িত অর্থের মালিক বানানো হয় না। ধনী গরীব সকলেই এগুলো সমভাবে ব্যবহার করে থাকে।
অনুরূপভাবে যাকাতের অর্থ দিয়ে দাতব্য চিকিৎসালয় খোলাও জায়েয নয়। তবে যদি যাকাতের টাকা দিয়ে ৗষধ খরিদ করা করা হয় এবং তা অসহায় গরীব রোগীদের মধ্যে ফ্রি বিতরণ করা হয় তবে তাতে যাকাত আদায় হযে যাবে। তবে যাকাতের অর্থ দিয়ে রক্ত খরিদ করা জায়েয নেই। এবং তা কাইকে দান করাও জায়েয নেই। অনুরূপভাবে যাকাতের টাকা দিয়ে চিকিৎসালয়ের আসবাবপত্র ক্রয় অথবা চিকিৎসক বা অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন দেওা জায়েয নেই।
আর যাদের কে যাকাত দেয়া যাবে না:
ক. যাকাত দাতার নিজের যে কোন প্রকার গোলাম বাঁদীকে (কৃতদাসকে) যাকাতের অর্থ দেওয়া জায়েয নাই।
খ. যাকাতের অর্থ দ্বারা গোলাম বাঁদীকে পূর্ণ শরিক করে অথবা আংশীক শরিক করে আযাদ করাও জায়েয নয়।
গ. ধনী মুজাহিদকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়।
ঘ. মৃত ব্যক্তি কাফন- দাফন জন্য যাকাত দেওয়া জায়েয নেই।
ঙ. স্বামী ও স্ত্রী পরস্পর একে অপরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়।
চ. যাকাত দাতার পিতা, পিতামহ ও তার পিতৃপুত্র ষদের কাউকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়।
উপসংহার:
পরিশেষে বলা যায় যে, মহান আল্লাহর হুকুম পালক করা ফরয। আর আল্লাহর হুকুম অমান্য কারির জন্য আল্লাহ কোনআনে পাকে বলেন-
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ.
আর যারা সোনা রূপা পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না অর্থাৎ যাকাত দেয়া না তাদেরকে মর্যন্তুদ শাস্তির সংবাদ দিন।
মহান আল্লাহ তায়ালা যে আটটি খাতে দিতে বলেছেন তা ব্যতিত অন্য খাতে যাকাতের টাকা দেয়া নাজায়েয। অতএব, নিদিষ্ট খাতে যাকাতের অর্থ দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে যাকাত আদায় হবে।
One Comment